শিক্ষা হচ্ছে ব্যক্তি ও সমাজের টেকসই উন্নয়ন এবং মানুষের মূল চালিকা শক্তি। আমরা হয়ত দুই একটি উন্নয়নের সূচকে উন্নীত হতে পারি, কিন্তু শিক্ষা ছাড়া এটা ধরে রাখা সম্ভব হবে না কারণ শিক্ষা মানুষকে উন্নয়নের পথে গতিশীল করে। সুতরাং শিক্ষা হচ্ছে মানুষের সমস্ত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করার পন্থা। রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম যে বাংলাদেশের, শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে উৎপাদনশীল, সৃষ্টিশীল ও বিজ্ঞান মনস্কতার মাধ্যমে দায়িত্ববান এক মানব সম্পদে রূপান্তর করা। আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে, এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা বিস্তারের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা। এই লক্ষ্যে ব্রিটেনের “হার ম্যাজিষ্ট্রিজ ইন্সপেক্টরেট অব এডুকেশন” এর আদলে (শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং- প্রশাঃ ৪এ-৪২/৮০/৬১৭-শিক্ষা, তারিখ ঃ ৩০/০৯/৮০ ইং) ০১/১০/১৯৮০ হতে আমাদের যাত্রা শুরু হয়।
(১) সরকারি অনুদান বা প্রাপ্ত অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহার।
(২) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরকার, বোর্ড অথবা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট সরবরাহকৃত/উপস্থাপিত তথ্য/বিবৃতির সত্যতা যাচাই করা।
(৩) সরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে শর্তাবলী ও নিয়মকানুন সঠিকভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা।
(৪) সরকারি অনুদান অথবা মঞ্জুরী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও উপযুক্ততা যাচাই করা।
(৫) স্বীকৃতি, অধিভুক্তি/অনুমতি প্রাপ্তির সময় দেয় শর্তাবলী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূরণ করতে পেরেছে কিনা তা যাচাই করা।
(৬) উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অথবা ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আরোপিত প্রশাসনিক আদেশ ও নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা এবং তদানুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
অর্থাৎ বিভিন্ন প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর করে শিক্ষার সার্বিক উন্নতি করা। শিক্ষা হচ্ছে একটি চলমান প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে শিক্ষার সমস্ত বিষয়গুলি পরিচালিত করে এর গুণগত উৎকর্ষতা সাধন করা হয়। যদি সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মসৃন ও উপযুক্ত পরিবেশে চলে তবে শিক্ষার্থীরা এর থেকে উপকৃত হয়ে সমাজ ও দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। অন্যান্য কাজের বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিক দিক নিদের্শনা দেয়া যাতে করে তারা ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সমান ভালবাসা ও স্নেহ দিয়ে মানবিক গুণাবলী বিকশিত করতে পারে। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায় এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিদর্শন ও নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।
পরিচালক
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর ।